top of page

Forum Posts

Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Science Fiction
* সম্পাদনা: সুদীপ দেব * প্রকাশক: পলান্ন * পেপারব্যাক, ২৯০ পৃষ্ঠা, ৩৫০/- টাকা কল্পবিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মনের ভিতরে প্রশ্ন জেগেছিল, খুব কী দরকার দরজার ওপারে চলতে থাকা ক্যামিক্যাল রিয়াকশন প্রত্যক্ষ করে বর্তমান চিন্তাভাবনার ভিত নাড়িয়ে দেওয়া! ভালোই তো ভূত, তন্ত্র মন্ত্র, রক্ত লীলা বা নিখুঁত প্রেমী হয়ে বসে থেকে ঘড়ির কাটা ছুটতে দেখা - কীসের নালিশ থাকতে পারে তাতে! কিন্তু না, পা রাখলাম ওপারে। হঠাৎ সিলিংয়ে দুরন্ত গতিতে ঘুরতে থাকা ফ্যানের হাওয়া বেশ লাগতে শুরু করল। শুয়ে থেকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম সেদিকেই, ক্রমে ভিতরের আমিটাকে নিয়ে হাজির হলাম অচেনার জগতে! হাতে ধরে আছি এই বইটি - "কল্পবিজ্ঞান" খেয়াল করলাম সামনে দাঁড়িয়ে দুজন মানুষ, যাদের আচার আচরণ মানুষের মত হলেও আমি বুঝতে পেরেছিলাম তাদের চিন্তাধারা মানুষের থেকে অনেক উন্নত! দুজন তাদের পরিচয় দিলেন, তাদের নাম - সুদীপ দেব এবং রেবন্ত গোস্বামী। তখন যেন নেশায় ধরেছে আমায়! চিন্তা শক্তির আড়ালে এসব কী হচ্ছে জানা যে খুব প্রয়োজন! রঙিন রামধণু রঙে বর্ণময় পথের উপরে বসে পড়ি আমি। খুলে দেখি কী আছে লেখা বইটির ভিতরে! দুজন মানুষের মুখে ক্ষিণ হাসি আমার নজরে পড়ল। পুরো বিষয়টি কেমন যেন অকল্পনীয়! সূচিপত্রে চোখ বোলাতে কতগুলো গল্প চোখে পড়ে। তবে সময় নষ্ট না করে সরাসরি গল্পের মধ্যেই ঢুকে পড়লাম। ১. দ্রোহ : ঋজু গাঙ্গুলী মহাকাশের কোনো এক প্রান্তে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। একজন মহান মানবীর আত্মত্যাগ আর এক বীর যন্ত্রগণকের উপকথা রচিত হয়েছে এই গল্পে। পোরোরোয়াস এবং আরুয়াসী। সু-মারু নামের একটি গ্রহের ভূমিগর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ধাতুর পাত, যার মধ্যে কিছু অতি প্রাচীন পার্থিব লিপি পাঠোদ্ধার করে কিছু বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে সেখানে একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। ক্রমে জানা যায়, ঘটনাটির সঙ্গে মিল রয়েছে আমাদের সমাজের পৌরাণিক কিছু চরিত্রের। ২. মন : ঐশিক মজুমদার প্রফেসর অনির্বান রায় এবং তার আবিষ্কার নিয়ে এই গল্প। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আর প্রযুক্তির সহযোগিতায় যন্ত্রটি তৈরি হয়। বহুবার ব্যর্থ হওয়ার পরে সাফল্যের হাতছানি অনুভব করেছিল সেদিন। সাবজেক্ট রজত শীল হয়তো বুঝতে পেরেছিল বহুকাল ধরে নিথর হয়ে পড়ে থাকা তার শরীর ও মনে কিছুটা হলেও আন্দোলন তৈরি হবে প্রফেসরের নতুন আবিষ্কারের কৃপায়! কিন্ত হঠাৎ একটি ঘটনা বদলে দেয় সবকিছু। ৩. রামধনু রং : সুদীপ দেব ভালোবাসার মানে কি! কেন হয় ভালোবাসা! বর্ণ, গন্ধ বা শরীর মেনেই কী চলতে থাকে ভালোবাসার স্রোত! কেউ জানে আবার অনেকে জানেনা। তবে যুগ পাল্টেছে, ভিতরের গোঁড়ামি ও ব্যাধিকে ভুলতে শিখেছে সকলে। তবুও ভয় বিরাজ করে। যদি কখনো কোনো ভাবে কেউ জানতে পারে তখন…! ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিকে আশ্রয় করে কোনো এক নতুন ডাইমেনশনে পাড়ি জমাতেও সক্ষম আধুনিক মানুষ। কিন্তু তবুও কুন্তল ভয় পায় বারবার। যদি বিদিশা জানতে পারে! ববি কি শেষ পর্যন্ত সবকিছু বলে দেবে? ৪. বসন্ত এসে গেছে : বিশ্বদীপ দে জিলের বৈবাহিক জীবন অস্থির হয়ে উঠেছে লেস্টারের ব্যবহারের জন্য। সদা ব্যস্ত মানুষটি তার সুন্দরী স্ত্রীকে সময় বা গুরুত্ব কোনোটাই দিতে পছন্দ করে না। এমন কি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীচু মানসিকতার পরিচয় দেয় লেস্টার। কিন্তু হঠাৎ একদিন সব পাল্টে যায়। জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে যখন ক্রমে দূরে সরে যেতে দেখে জিল, যখন সে মনস্থির করে বাকি জীবনটা নিজের সাথেই কাটিয়ে দেবে। ঠিক তখনই সে বুঝতে পারে লেস্টার তাকে বড্ড ভালোবাসে! জিল ভয় পেত লেস্টারকে, এখন সে আশ্চর্য হয়! এই মানুষটি যদি লেস্টার হয়, তাহলে এখন জিলের কি করা উচিত! প্রেমের বাঁধনে বাঁধবে নিজেকে! না কি ভেঙে ফেলবে এই অভিনয়ের মুখোশ - নিজের হাতে! ৫. অভিশাপ খোঁজে ধর্ম : অর্ঘ্য দত্ত আদি এবং অন্ত দুটোই অত্যন্ত বাস্তব। বাস্তবিকই সবকিছুই অবিনশ্বর। কিন্তু সকলেই বাঁচতে চায়। ধীরে সেই আকাঙ্ক্ষা বয়ে নিয়ে আসে এক অভিশাপ। যার মারণ কামড়ে অন্ধ হয় প্রজন্ম, রুদ্ধ হয় গতি। গল্পটি লেখকের ভাষায় আধুনিক কল্পবিজ্ঞান এবং ফ্যান্টাসির ধারাতে পৌরাণিক কিছু বিশেষ ঘটনা এবং পাত্রকে বিশেষ ভাবে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ।| সাল ২৩২৪, অত্যন্ত গোপনীয় একটি লক্ষ্য। সেই সময়ে বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণ, ধ্বংস হতে থাকা পৃথিবী থেকে মানব জাতিকে উদ্ধারের প্রয়াস এবং ক্রমে মানসিক দ্বন্ধের অতুলনীয় প্রেক্ষাপট রচনা করা হয়েছে গল্পটির প্রতিটি লাইনে। (* গল্পটি বাকিদের থেকে অনেক খানি বড়। বড় করে না হলেও ছোট করে একটিবার লেখকের গবেষণাকে সাধুবাদ জানানো উচিত।) ৬. মেমোরি লেন: সিদ্ধার্থ পাল আচ্ছা, যদি এমন কোনো যন্ত্র থাকে যার মাধ্যমে অতীতকে চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়! আচ্ছা, সেই যন্ত্র আপনি হাতে পেলে প্রথমেই কি করতে চাইবেন! পুরানো স্মৃতিগুলোকে দেখে কোনো ফাঁক খুঁজে পেলে ভরাট করতে চাইবেন আশা করি। সেরকমই কিছু ভাবতেন ম্যালকম সাহেব। যেটা অসম্ভব হলেও শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তি তার ম্যাজিক দেখায়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন তার প্ৰ প্ৰ প্ৰ মাতামহ এমিলিয়া তার স্বামী আলেকজান্ডার বার্নস সম্বন্ধে ঠিক তথ্য লিখে গিয়েছেন কি না! সকলে জানে কাবুল শহরে অসংখ্য উন্মত্ত আফগানদের হাতে বার্নস নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু এমিলিয়া লিখে গিয়েছেন অন্য কথা। সেই কথার সত্যতা যাচাই করার ইচ্ছে "মেমোরি লেন" আবিষ্কারক ডক্টর অভিক রায় আর সত্য অনুসন্ধানী ম্যালকম সাহেবকে নিয়ে হাজির করে দন্ডায়মান বিভীষিকার সামনে। এবং সেখান থেকেই এক অন্য বাস্তবের মুখোমুখি হয় ডক্টর অভিক রায়। ৭. যুগান্তর : প্রিয়াঙ্কা চ্যাটার্জী এই গল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে একজন আদর্শবান রাজা যে চিন্তিত তার রাজ্য এবং কন্যাকে নিয়ে। রাজ্যে চলতে থাকা প্রজাদের বিদ্রোহ খণ্ডন করতে প্রজা হিতৈষী বিধি চালু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। অপরদিকে সুন্দরী কন্যার যোগ্য স্বামী নির্বাচনে চূড়ান্ত ব্যর্থতার সম্মুখীন হয় এই রাজা। কিন্তু হঠাৎ ঘটে যায় একটি ঘটনা। রাজা এবং রাজকুমারীর সময়কাল পরিবর্তন ঘটে তাদের অজান্তেই। রাজা কি পারবে তার চিন্তা থেকে মুক্ত হতে? রাজকুমারী তার পছন্দের কুমারকে চয়ন করতে কি সমর্থ হবে? চিন্তা ও বিবেচনার যুগান্তর ঘটায় গল্পের প্রতিটি লাইন। ৮. কুটীলপুরী : শরন্যা মুখোপাধ্যায় বহুযুগ ধরে চলতে থাকা কিছু গোপন কার্যকলাপ জানতে পারা সত্যিই আশ্চর্যের। আর তাও যদি হয় কোনো এক বাড়ির অন্দরমহলে। কলকাতা থেকে সত্তর কিলোমিটার দক্ষিণে নন্দনগর বা খণ্ডহর নাম জায়গাটির। একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় আশি বছর ধরে। সমরেন্দ্র তালুকদার নামে একজন ভদ্রলোক বাড়িটিতে থাকতেন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় থেকে নানান ব্যবসা করে অনেক টাকাই করেছিলেন তিনি। কি আছে ওই বাড়িতে! কিসের ব্যবসা করত সমরেন্দ্র! আর বাড়িটিই কেন সকলের কাছে এত ভয়ের বিষয়! এই সব তথ্যই লুকিয়ে আছে বাড়িটির এবং গল্পটির মধ্যে। ৯. ভ্রূণ : অর্ঘ্যজিৎ গুহ বিটা চাইল্ড এইট! জিনিসটি কি! টাউন-সি এর গবেষণাগারে রাখা নথি হুবহু মিলে যাচ্ছে ডক্টর পার্থসারথীর রক্তের নমুনার সাথে। সুপার প্ল্যানেট "জেনেসিস-১" এর একটি নির্দিষ্ট পদে তাকে নিয়োগ করা হয়েছে যার কাজ হল প্রজেক্ট "ড্রিমেক্স-১" এর মাধ্যমে মানুষকে সুখে রাখা, শান্তিতে রাখা। সকলে তাকে ডক্টর হ্যাপিনেস নামেই চেনে। কিন্তু সবকিছুর পিছনে জট বাঁধছিল একটি চক্রান্ত। বহু বছর আগের একটি ঘটনা থেকে যার সূত্রপাত। অমরত্বের যোগসূত্র রয়েছে তার সাথে। ক্ষমতা ও আধিপত্যের লোভে নিকৃষ্টতম কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় বিশেষ একজন। মানসিক দ্বন্ধ, স্পর্ধা, প্রতি স্পর্ধার এক অদ্ভুত লড়াইয়ে শেষ হয় সবকিছু। কিন্তু সেই উপসংহারে পৌঁছানো এত সহজ ছিল না। কে এই ডক্টর পার্থসারথী! কি হয়েছিল তার সাথে! প্রশ্নটা আবার মনে জেগে উঠল - বিটা চাইল্ড এইট কি? ১০. জেকব মিশন : শৌভিক চৌধুরী নিমন্ত্রণ পেয়ে আপনি আপনার বন্ধুর বাড়ি গেলেন। পেট পুরে খেলেন। আতিথেয়তা পেয়ে উল্লসিত হয়ে আপনার মনে হতেই পারে - এটি আপনার জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু যখন আপনি জানবেন বন্ধুর এত ভালোবাসা, এত অতিথি সৎকারের পিছনে লুকিয়ে আছে কোনো এক অজানা রহস্য! ডক্টর কর্ণ বোস-এর সাথেও ঠিক এমনি কিছু হয়েছিল। নিমন্ত্রণ পেয়ে বন্ধু প্রফেসর ইন্দ্র সেনের বাড়িতে সে গিয়েছিল। তারপরে কর্ণের হাতে আসে ইন্দ্রের ডায়েরী যার থেকে সে জানতে পারে অদ্ভুত এক তথ্য। সারা শরীরে খেলে যায় অদ্ভুত শিহরণ। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনকে দেখে নিথর হয়ে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে কর্ণ। কিন্তু শেষে হাসিও ফুটে উঠেছিল এক কর্ণের মুখে। কি ছিল সেই ডায়েরীতে…! ১১. মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক : পরাগ ভূঁইঞা কিছুদিন আগেই শুনছিলাম দুজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন। একজন জিজ্ঞাসা করছে, "আচ্ছা, মাল্টিভার্সি কী জিনিস!" আরেকজন অবাক হয়ে চেয়ে থাকে। তখন আরেকজন বলে, "আমরা খুব অল্পই জানি মাল্টিভার্স নিয়ে!" সত্যি কি এই মাল্টিভার্স? আচ্ছা ভাবুন, আপনি আপনার জগতে একজন ডাক্তার। আপনি প্রাণ বাঁচান খুব দায়িত্ব নিয়ে। রোগীরা আপনার কাছে শুয়ে থেকে নিশ্চিন্ত হয়, এবারের যাত্রায় সে রক্ষা পাবেই পাবে। এবার আরেকটু ভাবুন, আপনার জগতের মতোই আরেকটি জগতে আপনার মত আরেকজন বেঁচে আছে যার কাছে প্রাণ ছিনিয়ে নেওয়া হল জীবনের মূল উদ্দেশ্য। সামনে শুয়ে থাকা মানুষ প্রাণ ভিক্ষা করে আপনার কাছে। তাতেই আপনার তৃপ্তি। আবার সেইরকম আরেকটি জগতে আপনি বেঁচে থাকেন অন্য এক ভাবমূর্তি নিয়ে। আবার আরেকটি জগৎ…তারপরে আরেকটি…এইভাবে যদি অগণিত পৃথিবীর অস্থিত্ব সত্যিই প্রমাণিত হয়। এবং যদি তাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের পদ্ধতি জানা সম্ভব হয়ে ওঠে তখন তাকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন! এবার মানছেন তো মদ্যপান সত্যি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক! ১২. সৌপ্তিক : শ্রীজিৎ সরকার মানুষের তৈরি এ-আই "গ্লো-গ্রীন" হঠাৎ করেই নিজেকে অভিযোজিত করে নিয়েছে। এখন মানুষের তৈরি লজিককে প্রশ্ন করে সে নিজে! ফলে নেপচুনের সাথে পৃথিবীর যোগাযোগ বন্ধ হয়। সেখানে তৈরি লেন্স পাঠানো বন্ধ করে দেয় "গ্লো-গ্রীন" বরং সেখানে তার মত করে উপনিবেশ স্থাপনে মন সংযোগ করে এই অতি আধুনিক প্রযুক্তি। হঠাৎ সৌপ্তিক নামক গ্রহ থেকে একটি স্পেস শিপ অবতরণ করে নেপচুনে। তারপরে সেই যান থেকে বেরিয়ে আসা পোশাকধারী একজন মানুষ একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখে "গ্লো-গ্রীন" এর সামনে। তার কাছে এমন কিছু আছে যাতে কিছু সময়ের মধ্যে রিচার্জ হবে নেপচুনে বসবাসকারী রোবট। কিন্তু বিনিময়ে সে দাবি করে তার নিজের প্রাণ! কি হবে এর পরে? সকল রোবট কি নতুন করে রিচার্জড হয়ে কেড়ে নেবে মানুষটির প্রাণ! না কি অন্য কিছু ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার এবং "গ্লো-গ্রীন"-এর জন্য! হঠাৎ কানে আসে একটি প্রশ্ন, "কেমন লাগল?" চোখের সামনে ঘূর্ণনটা অনুভব করছি এখনো। যেন আরো গভীরে প্রবেশ করছি আমি। বাস্তব অবাস্তবের দোলাচলে কখনো কখনো অস্থির বোধ হলেও আগ্রহ যেন নড়তে বাঁধা দেয়। সময়ের ব্যাখ্যা ভুলেছি অনেক সময় আগেই। কারণ এখন বুঝেছি সময়ের আসল সংজ্ঞা আমাদের অজানা। পুরান, ডিসটোপিয়া, প্যারাডক্স, ইউটোপিয়া সবকিছু সারিবদ্ধভাবে খেল দেখিয়েছে তার নিজের ভঙ্গিতে। বিজ্ঞানের আসল অস্থিত্ব বজায় থাকে যতক্ষন বেঁচে থাকে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় অঙ্কুরিত হয় মানুষের কল্পনা। সবকটি গল্পই অসাধারণ। তবে ভালো লাগার বিচারে জানতে চাইলে আমি বলব- ১. অভিশাপ খোঁজে ধর্ম ২. রামধনু রং ৩. দ্রোহ ৪. মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ৫. মন ৬. মেমোরি-লেন ৭. ভ্রূণ ৮. যুগান্তর ৯. জেকব-মিশন ১০. সৌপ্তিক ১১. বসন্ত এসে গেছে ১২. কুটিলপুরী সবকটি গল্পের সাথে ছবিগুলো বেশ অর্থবহ। শিল্পীরা সমান ভাবেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। বইটির ছাপা ও লে-আউট অত্যন্ত পরিষ্কার ও আরামদায়ক। সামগ্রিকভাবে, যদি আপনি কল্পবিজ্ঞান কাহিনির অনুরাগী হন তাহলে এই বইটি আপনার ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা। তবে হ্যাঁ, অর্ঘ্য দত্তের লেখা অভিশাপ খোঁজে ধর্ম, একটু সময় নিয়ে পড়বেন। ওটি লা-জবাব। লেখক ও প্রকাশকের উদ্দেশে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কল্পবিজ্ঞান content media
0
0
6
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Poetry
লেখায় : পার্থজিৎ চন্দ , জগন্নাথদেব মণ্ডল , সৈকত মুখোপাধ্যায় , প্রাণনাথ শেঠ , কুন্তল মুখোপাধ্যায় ও রাজা ভট্টাচার্য সম্পাদনা : জয়দীপ লাহিড়ী ও শরণ্যা মুখোপাধ্যায় প্রকাশক: পলান্ন মূল্য: ১৯৯ টাকা কবিতা আমি খুব একটা বুঝি না । কিন্তু যতটুকু বুঝি , ভালো লাগে । জীবনে যে কবিতার বই নিয়েও আলোচনা করবো , এক বছর আগেও বোধহয় ভাবতে পারতাম না । সম্প্রতি পড়লাম ছ জন বিশিষ্ট কবির লেখা কবিতা সংকলন " ছয়ে ঋতু "। শুধু পড়লাম বললে বোধ হয় ভুল হবে । ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই এরকম হলো - "পড়লাম , কিছুটা বুঝলাম । আবার পড়লাম , আরো কিছুটা অর্থ বোধগম্য হলো । আরেকবার পড়লাম , এবার কবিতাটা ভালো লাগতে শুরু করলো । শেষে সশব্দে ( পড়ুন প্রায় চিৎকার করে ) পাঠ করতে শুরু করলাম । এইভাবে এক একটা কবিতা চার - পাঁচবার করে পড়েছি । যেগুলো ভালো লেগেছে , বা বুঝতে পেরেছি (বলে মনে হয়েছে) সেগুলো আরো বেশিবার করে পড়েছি ( এবং তার সংখ্যা বেশ বেশিই ) । এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো এই বইয়ের ভূমিকা এবং সম্পাদকীয় , বইটির অনন্য সম্পদ । পরবর্তী পাঠকের কাছে অনুরোধ থাকবে এ দুটিকে এড়িয়ে না যেতে । বরং সবচেয়ে ভালো হয় সম্পাদকীয়টি প্রথমে পড়ে নিয়ে কবিতাগুলি কে পড়া শুরু করা এবং ঋতুভিত্তিক কবিতা যাপনের আগে তার সঙ্গে সম্পর্কিত ভূমিকাটি একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া । প্রত্যেক ঋতু নিয়ে মোট সাতটি করে কবিতা আছে পূর্বোক্ত কবিদের শক্তিশালী কলমে আর আছে একটি করে সংক্ষিপ্ত অথচ মনোগ্রাহী ভূমিকা। আসুন তাহলে শুরু করা যাক । দেখে নিই কেমন হলো এই ছয় ঋতুর সমাহার । গ্রীষ্ম - পার্থজিৎ চন্দ পার্থজিৎ বাবুর লেখা আগে পড়িনি । পড়তে গিয়ে বুঝলাম এই কবিতার রস সম্যক উপলব্ধি করতে গেলে নিজের পড়াশোনার পরিধি আরো বাড়াতে হবে। না হলে বোধহয় পূর্ণরস আস্বাদনে বঞ্চিত থেকে যাবো । তবে এ নিছকই আমার অযোগ্যতা । যতটুকু বুঝেছি , কবির শব্দচয়ন , বিষয় ভাবনা আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে । প্রথম কবিতার নাম মাতৃক্রোড় এবং প্রথম বলেই ছক্কা । ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ ভালো লেগেছে । দুটি পংক্তি তুলে ধরলে বোঝা যাবে হয়তো কেন - " মানুষেরা গোধূলিতে উঠে আসছে ছাদে , টিলার ওপর , নিঃসঙ্গ বিষণ্ণ মানুষ .... প্রতিটি মানুষের বুকের ভিতর সূর্য ডুবে যাচ্ছে , টেথিস সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে আধো - অন্ধকারে । " 'লেডি ম্যাকবেথ রাত' বা ' বহিরাগত ' ঋদ্ধ পাঠকের নিশ্চয়ই ভালো লাগবে । যেটা আগেও বলছিলাম , একটু পড়াশোনা থাকলে পাঠক নিশ্চিতভাবেই রস আস্বাদনে সমর্থ হবেন । ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ যদিও 'প্রলয়ের পর' এবং অবশ্যই 'জীর্ণ দেউল , মঙ্গলবার' । গ্রীষ্মের রুদ্ররুপ এভাবেই এ শীতের মধ্যে উষ্ণতার আবেশ এনে দেয় । বুকের ভিতর সেই আগুন আঁচ নিয়েই চলুন পাড়ি দি পরবর্তী ঋতুর কাছে , চলুন ভিজি একসাথে । বর্ষা - জগন্নাথদেব মণ্ডল জগন্নাথের কবিতার পরতে পরতে পেলাম মাটির সোঁদা গন্ধ। সহজিয়া ভাব । আর এইবারের বর্ষণমুখর শীতের মধ্যে আরো বেশি করে যেন মনে হলো বর্ষাকালেই বর্ষার কবিতা পড়ছি । রাধা কৃষ্ণের প্রেমের ব্যাকুলতা , রাধার পাগলিনী ভাব , বর্ষার প্রেক্ষাপটে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কবি । এক একটি পংক্তি যেন এক একটি বিরহের অলঙ্কার । অপূর্ব বাক্যগঠন , শব্দের ব্যবহার পাঠকের চোখে যেন ঘোর লাগিয়ে দেয় , মায়াজালে আচ্ছন্ন করে মন । যখন তিনি বলেন - " গোয়ালে গাভির চক্ষু বেয়ে সন্ধ্যা আসে , বিরহিনী জলের নীরব কান্নাতে ফোটে কমলমুকুলদল " বা " বিসমিল্লাহের কবরের পাশে ঝিঁ ঝিঁ র সানাই" , তখন নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে বাহবা । শিরোনাম বর্জিত কবিতাগুলির মধ্যে কোন একটি বা দুটি কবিতাকে প্রিয় কবিতা হিসেবে বেছে নেওয়া শক্ত , কারণ বৃষ্টিধারার মতোই তাদের সৌন্দর্য একত্রেই । শরৎ - সৈকত মুখোপাধ্যায় গদ্যকার সৈকত মুখোপাধ্যায় আমার বরাবরই প্রিয় । অতি সম্প্রতি পরিচয় হয়েছে তাঁর কবিতার সাথে আর প্রথম দর্শনেই যে প্রেম , তা প্রায় মুগ্ধতায় পর্যবসিত হয়েছে এই বইটিতে তাঁর কবিতাগুচ্ছ পাঠ করার পর । এভাবেও শরৎ কে নিয়ে লেখা যায় !!! এভাবে তো কখনো ভাবিনি শরৎকে নিয়ে । প্রিয় লেখকের কলমে ধরা দিয়েছে চিরচেনা শরৎ এক অজানা , অচেনা রূপে , আর সেই রূপের ছটায় ভেসে গিয়েছি আমি , ভেসে গিয়েছি সেই সব পরিবারের মতোই যাদের উপার্জনকারী সদস্য কখনো হয়তো দেবীকাঠামোর টানেই রাত্রির নদীতে গিয়েছে ভেসে । শরতের উৎসবমুখর রূপের আড়ালে যে দীনতা , অভাব লুকিয়ে থাকে , তাকে অসামান্য দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন কবি । প্রতিটি কবিতাই দুর্দান্ত । ব্যক্তিগত পছন্দ , শিরোনাম বর্জিত এক , দুই , তিন এবং ছয় । হেমন্ত - প্রাণনাথ শেঠ প্রাণনাথ বাবুর সাবলীল কলমে ধরা পড়েছে হেমন্তের উৎসবের আমেজটি । নবান্ন উৎসবকে মাথায় রেখে দুঃখ কষ্ট ভুলে বাংলার ঘরে ঘরে যে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় , তার ছোঁয়া লাগে হীরামনি, মালতী আর সজলের অভাবী জীবনেও । কবিতার মধ্যে দিয়ে এক সুন্দর কাহিনী বলেছেন প্রাণনাথ । জীবনের ছোট বড় চাওয়া-পাওয়া , না পাওয়া সব মিলিয়েই মানবতার জয়গানে পরিণত হয়েছে এই কবিতাগুচ্ছ, সমাপ্ত হতে হতে । ভালো লাগে , মনে দাগ কেটে যায় । শীত - কুন্তল মুখোপাধ্যায় কুন্তলবাবুর "হলুদ উলের গোলা" এই কবিতা সংকলনের অহংকার । এক ঝলক দেখে অহংকারী কুয়াশা বলে মনে হলেও , যখন আপনি সেই আপাত শীতল কবিতাপথ দিয়ে হেঁটে যাবেন , আপনার সামনে একটু একটু করে বুনে উঠতে দেখবেন ভালোবাসার গরম জামা । শীতের নরম রোদ আর রাতের হিমদ্যুতি , সবই ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে আপনার কাছে । প্রয়োজন শুধু একটু ধৈর্যের পাঠক , নয়তো আপনার দ্রুত পদক্ষেপে হয়তো শিশিরকণার সাথে সাথে অপমৃত্যু ঘটবে কিছু অমরত্ব প্রত্যাশী কবিতারও । ব্যক্তিগত পছন্দ শিরোনামবিহীন এক , দুই এবং অবশ্যই ছয় । " শীতের হলুদ রোদ , অদৃশ্য রুমালে বেঁধে দিয়েছি রাতের হিমদ্যুতি সকালে মাঠের লূতাতন্তুজালে সারি সারি শিশিরের সার্কাসের চ্যুতি " এবং বসন্ত - রাজা ভট্টাচার্য ঋতুরাজ বসন্ত । তাকে নিয়ে লিখেছেন আরেক রাজা এবং যথারীতি নিজের অননুকরণীয় ভঙ্গিমায় পাঠকের মনসাম্রাজ্যের দখল নিয়েছেন অবলীলায় তাঁর লীলাতত্ত্বের মাধ্যমে । রাইকিশোরী আর কানুর পূর্বরাগ , রূপানুরাগ , মান , অভিসার , মিলন , বিরহ এবং মাথুর সবই চিত্রিত হয়েছে এ কালের পটভূমিতে । যেখানে শূন্যগলি আর পদাবলী হাত ধরাধরি করে চলে , রেসিং সাইকেল এর অনন্য গতিতেও পথ হয় অফুরান । পড়েই দেখুন না পরবর্তী পাঠক । পূর্ববর্তী পাঠকের মতন আপনিও দেহ মনে বাঁধা পড়বেনই তার অপরিসীম সৌন্দর্যে । " আজিও কাঁদে কি রাধা হৃদয়কুটিরে ? আজও আছে সেই সন্ধ্যা , হেমন্তর গান ? ঘরে যাইতে পথ আজও হয় অফুরান ? রেসিং সাইকেলে আছে ? সেই শূন্যগলি ? সেই সব কিছু খোঁজে এই পদাবলি ।।" একমাত্র রাজা ভট্টাচার্যেরই আছে আটটি কবিতা এই আশ্চর্য সংকলনে , কারণ তাঁর ভূমিকাটি ও একটি অপরূপ কবিতা । লীলাতত্ত্ব সমাপন করে যদি পাঠক ফিরে যান সে আরম্ভে , তবে নিশ্চিতই ফের অভিভূত হবেন ঘরে-বাইরে । সব কিছুর খোঁজ যে রাজা দিয়ে গেছেন শুরুতেই । নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত একটি প্রচেষ্টা "ছয়ে ঋতু" । অত্যন্ত যত্ন নিয়ে করা একটি কাজ । সেই যত্ন ফুটে উঠেছে বইটির পাতায় পাতায় , হরফসজ্জাতে , ভূমিকাতে এবং সম্পাদকীয়তেও । কেবল মাঝে মাঝে একটু তাল কেটেছে কিছু বানানচ্যুতিতে । তবে সে সংখ্যা খুব বেশি নয় । প্রচ্ছদ অনবদ্য । এরকম একটি প্রচ্ছদ দেখলেই তো বইটি হাতে নিতে ইচ্ছে করবে । বইয়ের পাতার মানও বেশ ভালো । এ ধরণের কাজ বাংলা কবিতার বইয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে হয়েছে কিনা আমার জানা নেই । যারা কবিতা ভালোবাসেন তাদের জন্য অবশ্য সংগ্রহযোগ্য । ✍️ সুসংগীত দাস ©️
ছয়ে ঋতু content media
0
0
5
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Historical Fiction
সম্পাদক : সৌরভ চক্রবর্তী প্রকাশক : পলান্ন পাবলিকেশনস ১০টি ইতিহাসভিত্তিক গল্প রয়েছে এই বইতে... গল্পগুলিতে এমন ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যেগুলি সাধারণ পাঠ্যবইতে স্থান পায়নি... প্রতিটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনো না কোনো নারী.... গল্পগুলি এককথায় অসাধারণ....
ঐতিহাসিক থ্রিলার প্রথম খণ্ড content media
0
0
2
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Short Story
স্বরূপা রায় পলান্ন প্রকাশনী বইটা পেলাম শুক্রবার আর গত চারদিনে দশটা গল্প পড়েও ফেললাম। অন্তত এটা তো বুঝতেই পারছেন যে বোর হইনি। না, এটুকু বলে তো আর পুরো অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। বিস্তারিতভাবে বলব। তার আগে স্বরূপা'কে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর বই লেখার জন্য। তার সাথে পলান্ন প্রকাশনীর তারিফ না করলেই নয়। বইয়ের প্রোডাকশন একেবারে ঝাক্কাস! যাই হোক, এবার আসি গল্পের কথায়। বইয়ে রয়েছে দশটি ভিন্ন স্বাদের গল্প। ভূত, গোয়েন্দা, প্রেম, তন্ত্র সবরকম এলিমেন্ট রয়েছে। It's QnA time! সবকটা গল্পই কী ভাল? না , সবকটা ভাল নয়। বেশীরভাগ গল্প কী ভাল? Bingo! That's right! আমি কোনো সমালোচক না, বা কোনো গুরু না। তাই যে গল্প গুলো আমার ভাল লেগেছে সেগুলো নিয়েই এক দু'লাইন লিখব। দশটার মধ্যে সাতটা গল্প আমার ভাল লেগেছে আর সেগুলো নিয়েই লিখব। মায়াজাল ~ অদ্ভুতুড়ে পডকাস্ট চ্যানেলে গল্পটির অডিও হয়তো অনেকেই শুনে থাকবে। তাও বলি। গল্পটি একজন জিগোলোকে ঘিরে, যে তার ক্লায়েন্টের বাড়িতে যায়, নাম কামিনী। প্রবলেম হলো যে বাড়িটা একটা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত এবং ক্লায়েন্ট ঠিক স্বাভাবিক নয়। কারণ? Well, read on my friend. অচিরাৎ ~ একজন বৃদ্ধ বার্ধক্যে এসে তার প্রথম প্রেম জয়ন্তীর কথা মনে করতে থাকে এবং সেই ঘটনাটা আমরা গল্পের মাধ্যমে দেখি। এত সুন্দর ভাবে লেখা গল্পটা। শেষ লাইন পড়ে চোখে জল আসতে বাধ্য। You got me! তারে আমি চোখে দেখিনি ~ কোভিডের সময় চাকরি হারায় মৃণাল। শুধু তাই নয়, এই ভয়াবহ সময়ে সে প্রথমে হারায় নিজের বাবাকে এবং তারপরে মা'কে। ভেঙে পড়ে সে। চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যায়। মনের দুঃখে সে তার পুরোনো প্রেমিকা কে ফোন করে এক রাতে এবং মদ্যপ অবস্থায় মনের কথা বলতে থাকে। তারপর? This is a tear jerker. স্বরূপার লেখা কাঁদিয়েছে আমায়। ম্যাজিক ~ রাহুল ম্যাজিক দেখায়। এমনই এক পার্টিতে ওর সাথে দেখা হয় তার ছোটবেলার বন্ধু সুরজের। সুরজ তাকে পরদিন ডাকে বাড়িতে। তারপর? জমজমাট সাসপেন্স। সেন বাড়ির রহস্য ~ অরুন্ধতী ও সৃজনী দুই বন্ধু। সৃজনী নিজের পুরোনো বাড়ি অর্থাৎ সেন বাড়ি বিক্রি করতে আসে। তারপরেই ঘটতে থাকে অদ্ভুত সব ঘটনা। সেন বাড়ি ও তার রহস্য বড় জমজমাট। এই গল্পের সিকোয়েলের দাবী রাখলাম। চেকমেট ~ সুনয়না, রজতাভ ও প্রিয়া। এই তিনজনের ত্রিকোণ প্রেম ও তার ভয়াবহ পরিণতির গল্প চেকমেট। বেশ ভাল। একটি খুনের ঘটনা ~ বইয়ের সবচেয়ে বড় গল্প এবং আমার সবথেকে প্রিয়। দীপ্ত ও সুরঞ্জনার এই রোমান্টিক থ্রিলার দুর্দান্ত। একের পর এক পাতা উল্টে গিয়েছি। এমন গল্প আরো চাই স্বরূপা। ফাইনাল ভারডিক্ট - বইটি অবশ্যই পড়ে দেখুন, সময় নষ্ট হবে না। স্বরূপার ভাষা বেশ সাবলীল। আমার পড়তে ভালোই লেগেছে। I strongly recommend this book.
কালো মানুষ সাদা মানুষ content media
0
0
6
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Short Story
আজকাল পত্রিকার রিভিউ...
এ সময়ের প্রেমকথা content media
0
0
3
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Mythology
লেখক: শান্তনু দে প্রকাশক: পলান্ন প্রকাশনী হার্ডকভার, ২৩৪ পৃষ্ঠা (১৪ সেমি X ২১.৫ সেমি), ২৯৫/- টাকা আজ থেকে দু'বছরের সামান্য কিছু আগে খোয়াবনামা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল অনির্বাণ ঘোষ-এর লেখা 'হায়রোগ্লিফের দেশে'। মিশর, তার ইতিহাস ও কিংবদন্তি, জীবনযাপন ও প্রভাব— এগুলো বাংলায় প্রায় থ্রিলারের মতো আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে পরিবেশন করা হয়েছিল সেই বইটিতে। তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বইটি। তারই পাশাপাশি অন্য একটা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল। এমন ভাবে গল্পের ছলে অন্যান্য দেশের ইতিহাস ও কিংবদন্তিকে আমাদের সামনে, আমাদের ভাষায় কবে তুলে ধরা হবে? সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ মহাশয় আজ থেকে ষাট বছরেরও বেশি আগে 'গ্রিকপুরাণ কথা' নামে যে অনূদিত গ্রন্থটি লিখেছিলেন, বা অতি সম্প্রতি অরণ্যমন থেকে দেবলীনা সাহা'র লেখায় 'গ্রিস: ধর্ম বিশ্বাস দেবদেবী' নামে যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে, তাদের একটা বড়ো সীমাবদ্ধতা আছে। এই বইগুলো ইনডেক্স বা চরিত্রমালার মতো করে একের পর এক চরিত্রের কথা বলেছে। বইগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু গল্পের মতো করে পড়া যায় না। ঠিক সেই শূন্যতায় আত্মপ্রকাশ করেছে এই বইটি। এতে শান্তনু টানা একটা গল্প বলে গেছেন। ষড়রিপু আর মহত্বের টানাপোড়েনে কীভাবে তথাকথিত দেবলোক থেকেই সৃষ্টি হল ভালো-মন্দ মেশানো এই পৃথিবী— সেই গল্পটা বলেছেন তিনি৷ তার জন্য তিনি মূলত ব্যবহার করেছেন হেসিওড-এর থিওগোনি। এর ফলে গ্রিক মিথলজি বলতে হ্যামিল্টন, গ্রিভস বা ফ্রাই-এর যে বইগুলো আমরা অনেকেই পড়ি, তার বেশ কিছু আখ্যান বাদ পড়েছে (হয়তো পরে আসবে বলে)। কিন্তু যেক'টি কাহিনি আমরা পেয়েছি, অন্তত সেগুলো এসেছে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে। পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, যেন কেউ আমাদের গল্পই শুনিয়ে চলেছে। কথায় কথা বাড়ছে। দেবদেবীদের যে রূপগুলো আমাদের চোখে ধরা পড়ছে তার কিছুটা চেনা আর কিছুটা অচেনা। তারই সঙ্গে মিশে যাচ্ছে আমাদের পুরাণভাবনা আর আধুনিক হলিউডি দৃশ্যকল্প। সব মিলিয়ে গ্রিক মিথলজি আমাদের কাছে আসছে পাঠ্যবই নয়, বরং গল্পের বই হয়ে! এটা সম্ভব হয়েছে দুটো কারণে। প্রথমত, শান্তনু গ্রিক ভাষা জানেন এবং ওই সংস্কৃতিটিকে বোঝেন। ফলে অন্য অনেকের মতো ইংরেজি অনুবাদ পড়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতার মধ্যে তিনি আটকে পড়েননি। তাই তাঁর গল্পগুলো হয়েছে সপ্রাণ ও দেদীপ্যমান। দ্বিতীয়ত, শান্তনু'র গদ্যের হাতটি ভারি চমৎকার। তাঁর লেখায় চরিত্রগুলো স্রেফ দ্বিমাত্রিক কথক হয়ে আসেনি। বরং তাদের যেন চোখের সামনেই দেখতে পেয়েছি আমরা। 'হায়রোগ্লিফের দেশে'-র উত্তরসূরি হিসেবে এই বইয়ের দুটি বিশেষত্ব আছে। তারা হল~ ১) গ্রিক বর্ণমালার সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে (বা ঝালিয়ে) দিয়েছে বইটি। উৎসাহিত হয়ে আমরাও ফেলুদা'র মতো করে গ্রিক হরফে আর ইংরেজি ভাষায় ডায়রি লেখা শুরু করতেই পারি এবার। ২) এই বইয়ের শেষেও একটা রহস্য আছে, যেটা পাঠককে বলে, "পিকচার অভি বাকি হ্যায়, মেরে দোস্ত।" সেই বাকিটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। বইটির ছাপা, বাঁধাই, অলংকরণ খুব ভালো৷ হাতে-গোনা ক'টি ছাড়া টাইপো বিশেষ দেখিনি। বিষয়টি যে প্রকাশকের কাছে যথোপযুক্ত গুরুত্ব পেয়েছে, তা দেখে ভালো লাগল। যদি গ্রিক মিথলজি নিয়ে আগ্রহী হন, তাহলে এই বইটি আপনার পড়া উচিত বলেই আমি মনে করি। অলমিতি।
ঈশ্বর সৃষ্টির গল্প content media
0
0
5
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Short Story
লিখলেন শেলী ভট্টাচার্য বই ঃ রামধনুর রাগবিস্তার লেখক ঃ কৌশিক চট্টোপাধ্যায় প্রকাশনী ঃ পলান্ন মূল্য ঃ ২৫০/- পৃষ্ঠা সংখ্যা ঃ ২৪০ (হার্ড বাইন্ডিং) গল্প ঃ ন্যান্সি নৃশংসতার ঘ্রাণে ভরা যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়েও লেখক চেষ্টা করেছেন অমৃতের সন্ধান দিতে। স্নেহের পরশের সন্ধান দিতে। গল্প ঃ বীরবিক্রমের বীরত্বনাশ জব্বর মজাদার গল্প এটি। অহংকার বা ক্রোধ ... তার যে কালের নিয়মে সমূলে পতন বা বিনাশ ঘটবে ... সেই বার্তা দিয়ে ভীষণ সুন্দর গল্প লিখেছেন লেখক। লেখনশৈলী চমৎকার। গল্প ঃ জনক ভাঙ্গনের শেষ মুহূর্তেও পুনরায় আশাবাদী স্বপ্নগুলোর গড়ে ওঠার গল্প 'জনক'। অভিমানী বিচ্ছেদ যে কখনওই মিলনের প্লাবনের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে না, গল্পে এই বার্তা দিয়েছেন লেখক। গল্প ঃ বায়োস্কোপ জীবনের সব যন্ত্রণার সমাপ্তি রয়েছে অনন্তের পথে ... ক্লান্তির শেষে নিরবিচ্ছিন্ন বিশ্রামে ... গল্পটা পড়তে পড়তে ভীষণভাবে অনুভব করছিলাম এই কথাগুলোকে। অদ্ভুত মায়াময় এই গল্পের বুনন। গল্প ঃ গল্পের প্লট ধূর্জটিবাবু একজন বেশ খ্যাতনামা লেখক। শারদীয়াতে ভৌতিক উপন্যাস লেখার তাগিদে নিজেই গিয়ে পৌঁছেছিলেন বন্ধু রমেনের পরিচিত জমিদার বাড়িতে। রহস্যময় সেই বাড়ির ইতিহাস ঠিক কতখানি শিহরিত করেছিল লেখককে, তা জানতে হলে পড়তে হবে এই গল্পটি। গল্প ঃ শঙখমালার হাতছানি সুদূর আফ্রিকার বান্স আইল্যান্ডের এক নৃশংস ইতিহাসকে ভিত্তি করে লেখক লিখেছেন এই অসাধারণ অলৌকিক গল্পটি। গল্প ঃ আতর গল্পটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, আহা এমন কিছুর প্রভাবে যদি সত্যিই জীবনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত! কিন্তু শেষের চমক ভাবিয়ে তুলল। গল্প ঃ নীলকান্তর উপাখ্যান মজার ছলে লেখা আরেকটি বার্তাবহ গল্প এটি। কোনও অভ্যাসকেই অন্ধের মতো চিন্তাভাবনায় প্রশ্রয়ে বড় হতে দিতে নেই, সেই শিক্ষাই ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে বর্ণিত নীলকান্তবাবুর চরিত্রটি। গল্প ঃ হোলি সমাজের সর্পিলাকার অন্ধকার জগতের গল্প 'হোলি'। গল্পটিকে বাস্তবতার মোড়কে সমাপ্ত করেছেন লেখক। তবে পাঠক হিসাবে গল্পের অন্তিমে একটু আশার আলো দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। গল্প ঃ কবি কলেজ প্রেমের মজাদার গল্প 'কবি'। লেখকের লেখার গুণে বেশ রসময় হয়ে উঠেছে। গল্প ঃ শেষ কথা বিষাদময় গল্প 'শেষ কথা'। হঠকারী সিদ্ধান্তের পরিণতিতে কতটা তছনছ হয়ে যেতে পারে চারপাশ, তারই একটা টুকরো ছবি এই গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক। গল্প ঃ রক্ত পিশাচ পাপের পরিণতিতে মৃত্যু, আর মৃত্যুর পরের প্রেত জগতকে নিয়ে এই গল্প। বেশ একটা গা ছমছমে অনুভূতি আছে গল্পের মধ্যে। গল্প ঃ একটি নিরীহ খুন আপাতদৃষ্টিতে বহুগামী এক পুরুষের খুনের নেপথ্যে গল্পটি শুরু হলেও, পরবর্তীতে পারিবারিক প্রেক্ষাপটে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। একটি বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে অসাধারণভাবে লিখেছেন লেখক গল্পটিকে। গল্প ঃ কবিতার ক্লাস আরেকটি মজাদার গল্প 'কবিতার ক্লাস'। ঝরঝরে লেখায় চমৎকার শব্দশৈলী। গল্প ঃ বেট মানে টোপ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে গল্পটি পড়ে। মনে দাগ কেটেছে গল্পের একটি লাইন 'অতি সুসভ্যরাই সবচেয়ে বড় সঙ্কট পৃথিবীর কাছে'। গল্প ঃ রাত্রি এসে যেথায় মেশে মন ভালো করা প্রেমের গল্প এটি। পড়তে পড়তে ফিরে যাচ্ছিলাম কলেজ ইউনিভার্সিটির জীবনে। গল্প ঃ সাহিত্য সাধক শশধরবাবু লেখকের রম্যরচনার হাত চমৎকার। মজার আড়ালে সমাজের খ্যাতিপ্রিয় মানুষের মুখোশকে অসাধারণভাবে খুলে দিয়েছেন লেখক। গল্প ঃ রহস্যময় হত্যা গোটা একটা উপন্যাসের রসদ আছে এই ছোটো গল্পটিতে। নৃশংস সিরিয়াল কিলারের মুখোশ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অপরাধপ্রবণতার আড়ালের শিহরিত কারণ সামনে তুলে এনেছেন লেখক। গল্প ঃ কিঙ্কর চৌধুরীর আশ্চর্য স্বপ্ন লিখতে বসে একজন লেখক ঠিক কতভাবে লেখার সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন, সেই প্রেক্ষাপটে লেখা তথ্য সমৃদ্ধ এই অলৌকিক গল্প। গল্প ঃ লালবাবা ও মাস্ক ভীতির থেকেই সৃষ্টি হয় দুর্বলতার, আর তার সুযোগ নিতে মুখোশধারীদের অভাব হয় না। জীবনের এই কঠিন তিতকুটে সত্যকে সহজ সরলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। গল্প ঃ মহেশদা কিছু অদ্ভুত অনুভূতি আজীবন যুক্তিহীন রহস্যের আড়ালে গচ্ছিতই থেকে যায়, তেমনই এক গল্প 'মহেশদা'। গল্প ঃ ফটিক এক অপরাধের সূত্র টেনে হেচড়ে নিয়ে আসে পূর্বের অপরাধীকে। পাপ আর পাপীর নিস্তার নেই চিরকালের বিচারে। গল্পের সূত্র ধরে সেই সত্যকেই এই গল্পের মধ্য দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেছেন লেখক। গল্প ঃ মোহ গল্পটির রিভিউ লিখতে গিয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছি বহুবার। গল্পের বেশ কয়েকটা লাইন ভীষণভাবে নাড়িয়ে তুলেছে বিবেককে। বইয়ের শেষ গল্পটি তাই আলাদা একটা তৃপ্তি দিয়েছে আমায়। লেখকের হাতে এরকম ছোট গল্পের সংকলনের অপেক্ষায় রইলাম। বইটির জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল। কয়েকটি বানান ভুল ছাড়া বইটিতে লেখার ফন্ট সাইজ, কভার সহ সবটাতেই পড়ার তৃপ্তি পেলাম।
রামধনুর রাগবিস্তার content media
0
0
3
Polanno Publications
Oct 19, 2022
In Science Fiction
লেখক - শোভন কাপুরিয়া মূল্য - ₹২৫০ প্রকাশন - পলান্ন প্রকাশনী (পলান্ন প্রকাশনী সব সময় অন্য রকম কাজ করে এই বইটাও তার মধ্যে অন্তর্গত) লেখক প্রসঙ্গ:- শোভন কাপুরিয়ার এটি প্রথম বই। আগেও ফেসবুকের তার নিজস্ব পেজ আছে সেখানে কিছু গল্প তিনি লিখতে শুরু করেন এছাড়াও অডিও স্টরি কিছু চ্যানেলে তার গল্প আসে। প্রথম থেকে তিনি অন্য ধারার লেখক , তাঁর গল্পের বিষয়বস্তু ভাবনাচিন্তা একটু আলাদা ও বিপরীতমুখী । কিন্তু তার লেখার গুণ এবং তার গল্পের প্লট তৈরির পেছনে যে ভাবনা চিন্তা সেগুলি অনেক অনেক আলাদা এই সময়ে দাঁড়িয়ে। বইপ্রসঙ্গ:- তিনটি গল্প দিয়ে সাজানো ত্রিমাত্রিক। ত্রিমাত্রিক কারণ তিনটে গল্প তিনটে ধরনের। প্রথম গল্প "হ্যারিসন রোডের শেষ বাড়িটা"- একটি লাভক্রাফ্টিয়ান ঘরানার গল্প, দ্বিতীয় গল্প "আউটপোস্ট কেবি ১১" - একটি হরর Sci-fi গল্প তার সাথে আছে বাস্তবতার ছোঁয়া। তৃতীয় গল্প "অবৈধ" - সম্পর্কের চক্রব্যূহ যেখানে ষড়রিপুর জাল বিস্তার করা আছে । গল্প গুলির বিষয়বস্তু ও আমার প্রতিক্রিয়া : - ১. হ্যারিসন রোডের শেষ বাড়িটা : - হ্যারিসন রোড এর শেষ বাড়িটা সান্যাল দের বসবাস হঠাৎ কালো ঘন ছায়া ঘনিয়ে আসে পরিবার টার ওপর এক রাতে হঠাৎ করে পরিবারের মাথা সায়ন্তন সান্যাল নিজের বাড়ির বিড়ালটাকে হত্যা করে তখনই তার স্ত্রী তাকে বাঁচাতে খুন করে ? ঘটনা ক্রমে কদিন আগেই তাদের তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী ছিল । হঠাৎ এমন কি হলো সেই পরিবারে সেই অনুষ্ঠানের পর থেকে ? বাড়ির মধ্যে কি এমন কিছু প্রবেশ করেছিল যার প্রভাবেই মানসিক বিকৃতির হয়েছিল সায়ন্তনের ? নাকি লুকিয়ে আছে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির প্রতিহিংসা ? মৃগাঙ্ক দেখা করতে যায় একজন উকিলের কাছে যে টাকা নিয়ে অপরাধীদের ছাড়ায় দোষী ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করে । রোহিণী তার স্বামীকে খুন করেছে কিন্তু তাকেই মৃগাঙ্ক নির্দোষ কেন প্রমাণ করতে চাইছে? উত্তর পেতে হলে গল্পটা পড়তে হবে। প্রতিক্রিয়া : - গল্পটার প্রথম থেকে এত সুন্দর গতিশীল । একটা ঘটনার পরে আরেকটা ঘটনা একে অপরের পরিপূরক । সাজানো টা তো খুবই ভালো । তারওপর অবাক করেছে আমাকে গল্পের প্লট । যতগুলো চরিত্র ব্যবহার করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে । স্টরি বিল্ডআপ খুব ভালো । আর টুইস্ট তো থাকবেই এবং সেখানে আমি খুব ভালো রকম চমকেছি । এই গল্পটা সত্যি দারুন ছিল। ২. "আউটপোস্ট কেবি ১১" সময় ২৫৬৭ সাল। সিগনাস ২৭বি গ্ৰহের মধ্যে হওয়া দীর্ঘদিন দুই কর্পোরেশন এর মধ্যে যুদ্ধ চলছিল । এই যুদ্ধ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য দুই কর্পোরেশন এর মধ্যে একটা চুক্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয় যেখানে চুক্তিটা নেয়া হবে সেই জায়গাটা হচ্ছে আউটপোস্ট কেবি ১১.. কিন্তু হঠাৎ সিগনাস গ্ৰহের সঙ্গে আউটপোস্ট কেবির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কোন কারনে । দীর্ঘ অনেক সময় পার হওয়ার পরও সেই কারণ জানা যায় না । সেখানেই অনুসন্ধান করতে পাঠানো হয় একটা বিশেষ দলকে অগ্নি, মিশেল, আদিত্য, চার্লস, নাফিসা। অগ্নিকে দলে নেয়ার কারণ অঞ্চলটি তার পূর্ব পরিচিত . কিন্তু কোন অজানা রহস্য আছে সেখানে ? যার জন্য অগ্নির মনের কোণে এখনো একটা ভয় রয়েছে ? এরা আদৌ কি মিশনে সাফল্য পাবে না অতীতের কোন পাপ এসে ধরা দেবে ? না কোনো প্রতিশোধ স্পৃহার জয় হবে? কোন ধ্বংসের সূচনা হবে নাতো? এসব জানতে গেলে গল্পটা পড়তে হবে । প্রতিক্রিয়া :- শোভন দা যাকে বলে সাইফাই গল্পের আর্টিস্ট । প্রত্যেকটা ঘটনার পিছনে ভয় ধরানো অতীত থাকবেই। এটা একটা অ্যাডভেঞ্চার গল্প । যার পরোতে পরোতে ভয় আছে , প্রতিশোধ আছে , আবার জাস্টিস আছে। দাদা এই গল্পটা সমাজের একটা অন্য দিক তুলে ধরেছে। অতীতের পাতায় কালিমালিপ্ত ভালো মানুষি সেজে থাকা মুখোশগুলো টেনে খুলে দেওয়া যায়। ভালোবাসা যে সবকিছুর উর্ধ্বে তা প্রমাণিত। ৩. অবৈধ একটা জায়গায় গিয়ে খুন হন সৈকত , একটা কোম্পানির মাথা । রহস্যজনকভাবে তার আগের বছর আত্মহত্যা করেছেন তার ভাই সুকুমার । দুটোর মধ্যে কি কোনো যোগসূত্র রয়েছে না দুটোই একজন ব্যক্তির কাজ? প্রীতম এক কিশোরের মা অদ্রিজা সবেমাত্র কয়েক মাস যাবত ডিপ্রেশনে থাকার পর বেরিয়ে এসেছে । ডিপ্রেশনে থাকার কারণ কি ? প্রীতমের দিদি অনেক সময় ধরে নিখোঁজ কিন্তু এর কোন পুলিশি ডায়রি কেন করা হয়নি ? এদিকে অজান্তেই তার স্বামী একটা অন্ধকার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে ! অদ্রিজা কি এটা জানতে পারবে ? অদ্রিজার স্বামী রজত কি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে ? প্রীতমের বান্ধবী শ্রেয়শীর বন্ধুর দিদি এক বছর আগে একটা অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় । সেই দুর্ঘটনার পেছনে কি সমাজের কোনো বড় মাথার হাত ছিল ? ইন্দ্রর সঙ্গে সেই মেয়েটার কি সম্পর্ক ? প্রীতম শ্রেয়সীর মাধ্যমে একটা সাদা খামে ইন্দ্র কে জিনিস পাঠায় কি পাঠিয়েছিল কী এমন ছিল যেটা দেখে ইন্দ্রর জীবন এক লহমায় অতীতে ফিরে গেছিল? সৈকতের কোম্পানিতে আশা অফার কিভাবে রজতের কোম্পানি পেয়ে গেল ? এক্ষেত্রে সৈকতের স্ত্রী স্মিতার কি হস্তক্ষেপ রয়েছে ? সবকটি ঘটনা তার দিকেই আঙ্গুল দেখাচ্ছে কেন? ইনভেস্টিং পুলিশ অফিসার অভীক দত্ত কি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবে? অনেক প্রশ্ন না প্রচুর প্রশ্ন কিন্তু উত্তর একে বারে পরিস্কার হয়ে যায় । উত্তর জানার জন্য তো গল্পটা অবশ্যই পড়তে হবে প্রতিক্রিয়া:- গল্পটা যখন শুরু করলাম সবেমাত্র একটা দুটো পাতা পড়েছি কখনো নিজেকে এতটা চক্রব্যূহর মধ্যে মনে হয় নি ,কিন্তু গল্পটা যত এগোতে লাগল যত চরিত্র পরিচিত হতে লাগল তাদের কাজকর্মের প্রক্রিয়া তাদের ভূমিকা , কবে যেন মনে হলো নিজেকে একটা খুব বড়ো জালের মধ্যে ফাঁসিয়ে ফেলেছি । আর একটা অদ্ভুত জিনিস প্রত্যেকটা চরিত্র প্রত্যেকটা চরিত্র সঙ্গে এতটা ইন্টার কানেক্টেড যেকোনোভাবে নয় পূর্ব পরিচিত নয় সদ্যপরিচিত। ঘটনার পরিবর্তনে গল্পের সূক্ষ চরিত্রগুলোর ও প্রভাব রয়েছে। অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে গল্পটা। প্রত্যেকটা চরিত্রের অতীত , বর্তমান নিয়ে লেখকের এত সুন্দর সাজিয়েছে সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে । কিন্তু এই সব ঘটনা , সম্পর্কের জটিলতার ঊর্ধ্বে হচ্ছে প্রকৃত পাশে থাকা , ভালোবাসা । যেটা শ্রেয়শী হয়েছে প্রীতমের খারাপ সময়ে তার পাশে থেকে তার কথা শুনে তার listener হয়ে । এই দুজন সদ্য কিশোর-কিশোরীর এত খারাপ পরিস্থিতিতে সময়ে একে অপরকে বোঝা , বিশ্বাস করা ,আগলে রাখা এইটাই গল্পের ভালো দিক । এই গল্পে একটা জায়গায় একটাই ছবি দুরকম ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এর কারণটা কেন বুঝতে পারলাম না? ওভারঅল দারুণভাবে শেষ করেছি তিনটা গল্প খুব ফাস্ট পড়েছি আমি সাধারন পড়ার চেয়ে । খুব ভালো সময় কাটালাম। পাঠপ্রতিক্রিয়া - সায়ন সরকার
ত্রিমাত্রিক content media
0
0
5

Polanno Publications

More actions
bottom of page