top of page

প্রতিটা খুনই আসলে রাজনৈতিক

লেখক : দেবকুমার সোম

প্রকাশক : ভিরাসত ট্রেড

প্রচ্ছদ : পার্থপ্রতিম রায়


দৈর্ঘ্য : ১৮২ মিমি

প্রস্থ : ১২৭ মিমি

স্পাইন : ১৪ মিমি

পৃষ্ঠা : ১৬০


প্রকাশকের কথা


এই কাহিনির নামকরণ থেকে পাঠক কি কিছু আন্দাজ করতে পারছেন? আসলে, এই উপন্যাস নিজেই একটি বিস্ময়! অবশ্য যেসব পাঠক দেবকুমার সোম-এর লেখালেখির সঙ্গে যথেষ্ট পরিচিত, তাঁরা জানেন যে দেবকুমার একজন ইতিহাসচারী ঔপন্যাসিক। সমকালকে তিনি ধরতে চান ইতিহাসের নির্মোহ দৃষ্টিতে। বিদগ্ধজনের দ্বারা উচ্চ প্রশংসিত তাঁর আগের উপন্যাসগুলোর মতোই এই উপন্যাসও গাঁটছড়া বেঁধেছে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে। একজন প্রকাশকের পক্ষে বইটি নিয়ে খুব বেশি বলাটা ধৃষ্টতা হলেও এটুকু বলতেই হচ্ছে— দেবকুমার তাঁর কাহিনি বিন্যাসে যে-আঙ্গিক রচনা করেছেন তা আকুল পাথারের ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের মতো। রহস্যের যে-কতরকম স্তর হতে পারে তা অনায়াস লেখনীর জাদুময় কারিগরিতে বুঝিয়েছেন লেখক। তবুও এই কাহিনি বাহুল্যহীন প্রহেলিকা। তবে পাঠকের শেষ পর্যন্ত ভয়ের কিছু নেই কারণ, লেখক পাঠকের পাশাপাশি নিজেও এই নৌকার সওয়ার। তাই নানা শঙ্কা, উত্তেজনা, গ্লানি, হতাশার পরে সোনালি বালিয়াড়িতে নৌকা আশ্রয় নিয়ে পাঠককে এক অনাবিল উপলব্ধির কিনারায় পৌঁছে দিয়েছে। আমি খুশি, আপনারাও খুশি হবেন এই পাঠে, এই প্রত্যয় রইল। সহযোগী সকলকে, মানে টিম ভিরাসতের সদস্যদের প্রতি আগের মতোই কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

গ্রন্থ প্রসঙ্গ


প্রায় সাড়ে তেরো-শো বছর আগে উজ্জয়িনীতে খুন হন এক নগরনটী। সেই খুনের পুনর্নির্মাণে লেখক দেবকুমার সোম পৌঁছে যান অকুলস্থল উজ্জয়িনীতে সঙ্গী একজন মাঝবয়সি পাঠক আর তরুণী পাঠিকা। তিন জনের যৌথ উদ্যোগে একদিকে যেমন অপরাধের জট খুলতে থাকে, অন্যদিকে তেমনি তাঁরা তিন জন অজান্তেই জড়িয়ে যেতে থাকেন ভিন্ন এক অন্ধকার অপরাধে। যেখানে অপরাধী আর ভিক্টিমের মধ্যকার সমীকরণগুলো পালটে-পালটে যেতে থাকে। আর সেই সমীকরণে রাজনীতি আর নারীশরীর ওতপ্রতভাবে মিলেমিশে যায়। দাবাখেলার মতো রাজনীতিতেও নারীর ক্ষমতা জয়পরাজয় নিশ্চিত করে। আজকের বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে যেমন, তেমনই সাড়ে তেরো-শো বছর আগেও হুবহু একই রসায়ন। তার সঙ্গে জুড়ে যায় গুপ্তচরবৃত্তি, দলবদলের পলিটিক্স আর ক্ষমতার শীর্ষে ওঠার জন্য ঘৃণ্য লড়াই।

এই উপন্যাসে সেই শাশ্বত সমীকরণকে ফিরে দেখা : তেরো-শো বছর আগে কিংবা আধুনিক সময়ও সব খুনই আসলে রাজনৈতিক। বাংলা থ্রিলারধর্মী উপন্যাসে এক নতুন ভাষ্য। উল্লেখযোগ্য সংযোজন। অবশ্য পাঠ্য।

 

লেখক পরিচিতি



সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যের বিকল্প ধারার লেখক দেবকুমার সোম। যিনি বলে থাকেন তাঁর লেখায় বিষয় নেই, বক্তব্য আছে। ফলত, তাঁর লেখার পাঠসংহতি পাঠকের সঙ্গে এক নিরবচ্ছিন্ন সেতু তৈরি করা। যা একই সঙ্গে অন্তর্ঘাতমূলক ও লাবণ্যময়। রাষ্ট্রের পক্ষে যা সহ্য করা অস্বস্তিকরও বটে।

তাঁর সামগ্রিক লেখালিখি জুড়ে আছে রাজনৈতিক দর্শন। বীক্ষা। বিকল্প ভাবনায় তা হয়ে ওঠে ব্যতিক্রমী অথচ, নতুনধারার বাংলাসাহিত্য। যে-ভাবনা তাঁর উপন্যাস-গল্প-প্রবন্ধে অবভাসিত।

অগণিত পাঠকের মনোরঞ্জনের দায় তাঁর নেই। সাহিত্যের বাজার অর্থনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। ভিড়ে হারাবার মতো বিলাসে তাঁর ঘোর অনিচ্ছা। তাই পুরস্কার-তিরস্কার সভাসমিতি তিনি এড়িয়ে চলতেই স্বস্তিবোধ করেন।

Comments


bottom of page