
কৃষ্ণ গহ্বর - মণিদীপা দাশ ভট্টাচার্য।
প্রচ্ছদ ও নামাঙ্করণ - Sayan Bandyopadhyay
কৃষ্ণ গহ্বর- লেখিকার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস, যার মূল বিষয় আমেরিকাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে চাওয়া মানুষদের এক ভয়ঙ্কর যাত্রাপথের গল্প।
সম্পূর্ণ অবৈধপথে বিভিন্ন দেশের মানুষকে প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাদেশের মাটিতে পাচার করে চলেছে একদল অন্ধকারে থাকা মানুষ। আবার বহু মানুষ, তাদের নিজেদের দেশে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে, পাড়ি দেয় এই অবৈধ পথ ধরে আমেরিকার উদ্দেশ্য।
মূলত দুটি জায়গা থেকে, মানুষ পাচার চলে আমেরিকাতে। একটি মেক্সিকো থেকে টেক্সাস এর এল পাসো বর্ডার ক্রস করে এবং ওপরটি তিহুয়ানা মেক্সিকো থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল।
সমগ্র দেশের নিরাপত্তার কারণে, আমেরিকাত প্রাক্তন প্রেসিসেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর সাথে আমেরিকার যে বেরিয়ার বা বর্ডার করেছেন, তা প্রায় ২০০০ মাইল বিস্তৃত লোহার দেওয়াল তুলে, মেক্সিকো থেকে আমেরিকাকে আলাদা করা হয়েছে। আমেরিকার দিক থেকে, এই বর্ডার টিকে বলা হয়, সাদার্ন বর্ডার। এবং মেক্সিকোর দিক থেকে এই বেরিয়ারটি'র নাম মেক্সিকো উনাইটেড স্টেট বেরিয়ার।
ছুটিতে বেড়াতে এসেছিলাম, স্যানডিয়াগোতে। এই শহরে যেখানে ছিলাম, সেইখান থেকে মেক্সিকো সীমান্ত বড়জোর ২০ মাইল। কৃষ্ণ গহ্বর লেখবার সময় থেকেই, বারবার যেন মনে হত একবার যদি নিজের চোখে এই বিস্তৃত সার্দান বর্ডার দেখতে পেতাম! আজ আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম, একেবারে সীমান্তে। দেখলাম পাহাড়, সমুদ্রকে এক করে কীভাবে একটি দুর্ভেদ্য লৌহ প্রাচীর দুটো দেশকে পৃথক করে ফেলেছে। স্যাানডিয়াগোর বর্ডার ফিল্ড স্টেট পার্কের সমুদ্র তীর থেকে একেবারে কাছ থেকে দেখা যায় এই দেওয়াল।
কোন বিশেষ নিরাপত্তার কারণে, এই পার্কটি বেশ কয়েকমাস সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করা আছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও, সেই অবধি আমরা পৌঁছতে পারলাম না। তবে খানিকটা পাহাড়ি পথ বেয়ে দূর থেকে দেখতে পেলাম, সেই লোহার তৈরি দেওয়ালকে।
সত্যি বলতে কী যেন একটা অদ্ভুত অনুভুতি আমার সারা শরীর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। যে ঘটনা নিয়ে গত এক বছর ধরে, দিনরাত পড়াশোনা করে গিয়েছি, যে ঘটনাকে উপপাদ্য করে আস্ত একখানা উপন্যাস লিখে ফেললাম, আজ সেই আমেরিকা মেক্সিকোর সার্দান বর্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে আমি!
হয়ত ঠিক এই মুহূর্তে কয়েক হাজার মানুষ দেওয়ালের অন্য প্রান্তে অপেক্ষায় রয়েছে, যদি এক মুহূর্তের কোন সুযোগে ঢুকে আসতে পারে আমেরিকাতে। হয়ত, ঠিক এই মুহূর্তে ১১ টি দেশের সীমান্ত পেরিয়ে আসা, বিদ্ধস্ত কোন মনসুর আহমেদ বর্ডারের এক কোণে বসে সমুদ্রের ঢেউ গুনছে আর মনে মনে ভাবছে, আর কি সে তার নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবে? যে দেশে তার পরিবার, তার প্রিয়জনের অলক্ষ্যে তাকে চলে আসতে হয়েছে এমন এক পথে, যে পথ হয়ত তাকে আর ঘরে ফেরবার রাস্তাটুকুও দেখাতে পারবে না!
ঘরে বাইরে পাবলিকেশন/Ghare Baire publication এর দ্বারা প্রকাশিত বইটি কলেজ স্ট্রিটের বসাক বুক স্টোর, দে বুক স্টোর ও আরও বিভিন্ন বুক শপে পাওয়া যাচ্ছে।
অনলাইনে লিপিঘর
-------------
8100268975
9830463981 এই নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিলে বাড়িতেই বইটি ডেলিভারী করে দেবে।